۲ آذر ۱۴۰۳ |۲۰ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 22, 2024
কুরবানি পশু নির্বাচনের শর্তাবলি
কুরবানি পশু নির্বাচনের শর্তাবলি

ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শরয়ী পন্থায় যে, পশু জবাই করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়।

হাওজা নিউজ এজেন্সি বাংলাঃ আরবি ‘কুরবুন’ থেকে কোরবানি শব্দের উৎপত্তি। কুরবিয়্যাত অর্থ হলো নৈকট্য অর্থাৎ ত্যাগের মাধ্যমে নৈকট্য লাভ। আল-কোরআনে সূরা আল-মায়েদার ২৭ নম্বর আয়াতে উল্লেখ আছে, ‘ইজ ক্কাররাবা-ক্কুরবা-নান’ অর্থাৎ যখন তারা দুজনে কোরবানি পেশ করল। প্রচলিত অর্থে, ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শরয়ী পন্থায় যে, পশু জবাই করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়। সকালে রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বলে এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে।

এই দিনে এমন পশু দ্বারা কুরবানি দিতে হবে যা শরিয়ত নির্ধারণ করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে একটি কুরবানি পশুর নিম্নলিখিত শর্তসমূহ থাকা উচিতঃ

১. কুরবানির জন্য ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, গরু, মহিষ ও উট’এর মতো চার পা বিশিষ্ট পশু কুরবানি করতে হবে।

২. শরীয়তের দৃষ্টিতে কোরবানির পশুর বয়সের দিকটা খেয়াল রাখা জরুরী।

ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কুরবানির ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে উক্ত পশুর বয়স যেন এক বছর পূর্ণ হয়। তবে কোনো কোনো আলেমগণের দৃষ্টিতে ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার বয়স (যদি তা স্বাস্থ্যবান হয় ও প্রাপ্ত বয়স্ক মনে হয়) ছয় মাস হলেও কুরবানির জন্য যথেষ্ট।

গরু ও মহিষ কুরবানির ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে তাদের বয়স যেন দুই বছর পূর্ণ হয়।

উট কুরবানির ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে উটের বয়স যেন পাঁচ বছর পূর্ণ হয়।

৩. কুরবানি যেন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হয়। অনুরূপভাবে কুরবানির পশু যেন সুস্থ, সবল, স্বাস্থ্যবান, পশুর কোন অঙ্গে যেন কোনো প্রকারের সমস্যা না থাকে। এক কথায় বলতে পারি যে, কুরবানির পশু যাবতীয় দোষ-ত্রটি মুক্ত হতে হবে।

সংগ্রহ ও সংকলনঃ রাসেল আহমেদ রিজভী

تبصرہ ارسال

You are replying to: .